Justice Amrita Singh, on Friday, allowed the couple to have a ‘test tube baby’.
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ‘টেস্ট টিউব বেবি’ বা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বামীর বয়স! অনুমতি মেলেনি স্বাস্থ্য ভবনের। অগত্যা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশীপুরের এক দম্পতি। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ, ওই দম্পতিকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’র জন্য অনুমতি দিলেন।
কেন হাইকোর্টে যান ওই দম্পতি?
সম্প্রতি কলকাতা শহরের আইভিএফ পদ্ধতিতে টেস্ট টিউব বেবি চেয়ে একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। যে ক্লিনিকে তাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা দম্পতির আবেদনে সাড়া দেননি। কারণ টেস্টটিউব বেবি পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নিয়ম অনুযায়ী টেস্ট টিউব বেবি নিতে গেলে একজন পুরুষের বয়স সর্বোচ্চ হতে হয় ৫৫ বছর ও সর্বনিম্ন ২১ বছর। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হতে হয় ৫০ বছর। তবে এক্ষেত্রে টেস্ট টিউব বেবি চেয়ে যে আবেদনকারী স্বামীর বয়স ৫৮ বছর।
স্বামীর বয়স বেশি থাকার কারণে সন্তান লাভের জন্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসতে বলেছিল ওই ক্লিনিক। এরপর স্বাস্থ্য ভবনের দ্বারস্থ হয়েও আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান লাভের ব্যাপারে অনুমতি আদায় করতে পারেননি ওই দম্পতি।
বাধ্য হয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টে IVF পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান লাভের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ওই দম্পতি। আজ শুক্রবার হাইকোর্টে পক্ষে বিপক্ষে সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি সিংহ দম্পতিকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ নেওয়ার অনুমতি দিলেন। হাই কোর্টের নির্দেশে খুশি ওই দম্পতি।