11-year-old boy died by hanging a towel on the window of the hostel! Expressing surprise, the full report has been summoned by the High Court
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:হোস্টেলের জানালায় গামছায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু ১১ বছরের বালকের! বিস্ময় প্রকাশ করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মুর্শিদাবাদের রহমানিয়া মিশন হোস্টেলে ১১ বছরের বালকের অস্বাভিক মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবারের দাবি অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও খুনের ধারা না দিয়ে স্রেফ আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিস। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপাতত পুলিসের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ মে স্কুলের হোস্টেলের মধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে ওই ১১ বছরের বালকের। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেই বালকের পরিবারকে সেকথা জানানো হয়। পরিবারের দাবি, তাঁরা নওদা থানায় গিয়ে দেখেন ছেলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। ময়না তদন্ত রিপোর্টেও সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে গলায় ফাঁস লেগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আত্মহত্যার ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিস। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী নিলাদ্রী শেখর ঘোষ দাবি করেন, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিসের তরফে দাবি করা হচ্ছে একটি গামছা জানালায় বেঁধে গলায় ফাঁস লাগানো হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বদলে ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত না করে কীভাবে আগে থেকেই পুলিস ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করতে পারে?
রাজ্যের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, তাদের কাছে ওই স্কুলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘটনার দিন ওই বালক একাই স্কুরের একটি ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এক ১১ বছরের বালক কীভাবে জনালায় গামছা বেঁধে ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি সিনহা। এরপরই সবপক্ষকে ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার অনুমতির পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।