The High Court expressed anger at the role of the police
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
মামলাকারি চারজন বিক্ষোভকারীর আবেদনের ভিত্তিতে মামলায় ক্ষোপ্রকাশ বিচারপতির।”আইন রক্ষার দায়িত্বে পুলিশ আছে মানেই তারা বেআইনি কাজ করতে পারেনা”…… মন্তব্য বিচারপতির।
নবান্ন অভিযানের আগে ২৬ জুলাই হাওড়া পুলিশ গোলাবাড়ি থানা গ্রেপ্তার করে চারজনকে। সেই নিয়ে পরের দিন হাইকোর্টে একজনের বাবা মামলা করলে পরে পুলিশ ওই চারজনের গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। ওইদিন বিকেলে বেলুড় থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ আনা হয়।
মামলা কারীর পক্ষের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, যদি তাই হয় তাহলে তাদের পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে দিলো কি করে! এখানে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে। অথচ কোনো প্রসেস মানা হয়নি বলে অভিযোগ তারা দাগি অপরাধী নয়। তাই এখানে গ্রেপ্তারের কারণ স্পষ্ট নয়।
রাজ্যে সরকারের পক্ষের আইনজীবী জানালেন, পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল এই চারজন নবান্ন অভিযানে বড় কোনো গোলমাল করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তার ভিত্তিতেই তাদের আগাম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি: কোথা থেকে পুলিশ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল? কি অভিযোগ পেলো? এদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো অপরাধের ঘটনা আছে কিনা, এই সব তথ্য কোথায়? আবার যদি এদের সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ পেয়ে থাকে পুলিশ ছেড়ে দিলো কেন? আর যদি পুলিশের কাছে আসা তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হয় তাহলে তাদের গ্রেপ্তার ও ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হলো কেনো? এই ভাবে গ্রেপ্তার করা যায় না। আর গ্রেপ্তার করলে তাদের এই ভাবে ছাড়া যায় না। যেখানে দেখছেন, এখন এই ইস্যুতে পরিবেশ অন্যরকম হয়ে রয়েছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে কাল সিনিয়র কোনো রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে হাজির থাকতে হবে।
রাজ্যে সরকারের পক্ষের আইনজীবী জানান, হলফনামা দিয়ে সব জানাতে চাই। আমাদের কাছে তথ্য আছে।
বিচারপতি : কোনো হলফনামা নয়। কাল যাবতীয় তথ্য নথি নিয়ে আদালতকে দেখাতে হবে কিসের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলো আর কিসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিলো। এই ভাবে চললে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেপ্তার করবে আর ২৪ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেবে। কাল দিনের প্রথম মামলা হিসেবে এটার শুনানি হবে। স্পষ্ট নির্দেশ বিচারপতি ভরদ্বাজের।