8 to 80 all affected! Almost every house has fever, cold and cough. Bengal overcame the outbreak of influenza
রাজ্য
মুনমুন রায় ,প্রতিনিধি : বাংলার প্রতিটি ঘরে-ঘরে জ্বরে কাবু হয়ে, স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে অফিস সবজায়গায় ছুটির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তবে এই জ্বর শুধু আবহাওয়া বদলের মামুলি জ্বর নয়, আড়ালে ডেঙ্গু, টাইফয়েড কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপই বেশি। মেডিকা সুপারস্পেশালটি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী করণীয়, তারই হদিশ দিলেন।
ঘরে-ঘরে এখন একটাই অসুখ। শরীরের তাপমাত্রা উঠছে ১০৩, কখনও আবার ১০৫ পর্যন্তও, বয়স্করাই শুধু নয়, শিশুদেরও খুব জ্বর হচ্ছে। আরও চিন্তা বাড়িয়েছে বাড়িতে কারও জ্বর হলে তার থেকে ছোট-বড় সকলেরই হচ্ছে। তাহলে কী করোনা? অনেকেই আতঙ্কিত। আসলে প্রথমদিকে মরশুম পরিবর্তনের জ্বর ভেবে অনেকেই তেমন গা করছিলেন না। তিন থেকে চার রকমের জ্বর নিয়ে রোগীরা আসছেন। জলবাহিত সংক্রমণ (টাইফয়েড, হেপাটাইটিস), মশাবাহিত সংক্রমণ (ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া), রেসপিরেটরি ইনফেকশন (ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড)। কার যে কী হচ্ছে সেটা প্রথমেই বোঝা মুশকিল। প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, তারপর ধীরে ধীরে আরও সমস্যা প্রকাশ পাচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাতে ১০-২০ শতাংশ বেড়েছে ডেঙ্গু-টাইফয়েড রোগীর সংখ্যা। প্রচুর হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বর। জ্বর বা পেটের অল্পসল্প গন্ডগোল হচ্ছে, কারও আবার হঠাৎ করেই ধুম জ্বর আসছে। সঙ্গে সর্দি-তীব্র কাশি। থাকছে মাথার যন্ত্রণাও। এবছর বর্ষার শুরুতেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ভাইরাল, ব্যাকটিরিয়াল ফিভার। তাই এখন থেকেই সতর্ক হোন। গত তিন চার বছরের চেয়ে এবছরের এইসময়ে নানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাটাও প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।প্রথমে বুঝতে হবে জ্বরের কারণ। প্রথম দিকে লক্ষণ সবক্ষেত্রেই এক রকম, অর্থাৎ জ্বর আসবে। তবে কী করে বুঝবেন ডেঙ্গু নাকি ইনফ্লুয়েঞ্জা? কিংবা টাইফয়েড!
টাইফয়েডের ক্ষেত্রে প্রথমে হালকা জ্বর দিয়ে শুরু হয়, তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ে।
এক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে পেটের গন্ডগোল থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়েরিয়া হয়।
বমি হতে পারে, তবে কয়েকদিন পরও শুরু হতেপারে ।এই জ্বরে লিভারের কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়। ক্ষুদ্রান্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দীর্ঘদিন ভুগলে পেটে ব্যথা, পেটের মধ্যে রক্তপাত, মল কালো বর্ণের হয়ে যেতে পারে।টাইফয়েডের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা দরকার। কারণ এটি ‘সালমোনেল্লা টাইফি’ ব্যাকটিরিয়া বাহিত অসুখ।টাইফয়েড আইজিএম টেস্ট, ব্লাড কালচার ও ওয়াইডাল টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করতে হবে।
ডেঙ্গু হলে প্রথমেই ধুম জ্বর আসে। তার সঙ্গে গা-হাত-পায়ে অসহ্য ব্যথা, মাথাব্যথা, গায়ে র্যাশ বেরনোর এই সকল লক্ষন থাকে ।
বমি হওয়ার প্রবণতা প্রকাশ পায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীদের টাইফয়েডে টেস্ট করলেও ফলস পজিটিভ রিপোর্ট আসে ।
ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকির, প্লেটলেট কাউন্ট হঠাৎ করেই কমে যায়, শরীরের অভ্যন্তরীণ ব্লিডিং শুরু হয়। ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম হয়ে প্রাণসংশয়ও ডেকে আনতে পারে।ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও লিভারের সমস্যাও হতে পারে। এই জ্বর প্রতিহত করতে ফ্লুইড বা পানীয় অতি জরুরি।ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে প্রথম তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে ডেঙ্গু এনএসওয়ান টেস্ট ও পাঁচদিন পরে ডেঙ্গু আইজিএম অ্যান্টিবডি টেস্ট করা দরকার।