Igor Stimach’s team is on the verge of elimination from the tournament after playing awkward football against Uzbekistan in the last match
বিদেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : উজবেকিস্তানের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় ফুটবল দল। শেষ ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্রী ফুটবল খেলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের মুখে ইগর স্টিম্যাচের দল। ছন্নছাড়া মাঝমাঠ, সঙ্গে খারাপ রক্ষণ। কোন বিভাগই ক্লিক করেনি উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। ডিফেন্সের সেই জমাটে ভাবটাই উধাও হয়ে গেছিল। কিন্তু এত খারাপ পারফরমেন্সের কারণ ঠিক কি, তার উত্তর নেই কারোর কাছেই। কেউ আনোয়ারের না থাকাকে দায় দিতে পারে। কিন্তু ১৪০ কোটির ভারতে কেন পর্যাপ্ত ডিফেন্ডার বা মিডফিল্ডার নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কিছুটা হলেও লড়াই দেওয়ায় মনে হয়েছিল উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে পারে হয়ত ভারতীয় দল। কিন্তু ঝিংগান, রালতে, নিখির পুজারিরা তো সেভাবে দাড়াতেই পারলেন না। অঙ্ক বলছে এএফশি এশিয়ান কাপের ফরম্যাটে প্রথমে ছটি গ্রুপের দুটি করে দল রাউন্ড অফ সিক্সটিনে যায়। এরপর চারটি আরও তৃতীয় স্থান অধিকারি দল পরের রাউন্ডে যায়। কিন্তু সিরিয়া প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ড্র করায় তারা পয়েন্টের খাতা খুলতে পেরেছে। সেখানে ভারতের ঝুলি এখনও শুন্য। জিতলেই যে পরের রাউন্ডে ভারত যাবে তা কোনওমতেই বলা যায়না। বরং বলা ভালো, যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ভারতের গোল পার্থক্য মাইনাস ৫। সেখানে সিরিয়া দলের গোল পার্থক্য মাইনাস ১। অর্থাত্ চার গোল বা তার বেশি গোলে সুনীলদের জিততে হবে সিরিয়ার বিপক্ষে। এই সিরিয়া দল শুধু উজবেকিস্তানকে আটকে দেয়নি, বরং অস্ট্রেলিয়াকেও বেগ দিয়েছিল, যদিও শেষ মেষ ১ গোলে হেরে যায়। তবু সিরিয়ার আমার রামাদান, জালিল এলিয়াসদের পারফরমেন্স ছিল নজরকাড়া। ফলে এই দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় আদৌ ভারতের পক্ষে সমভব কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বরং হার আটকানোই হয়ত প্রধান স্ট্র্যাটেজি হবে ইগর স্টিম্যাচের। কারণ ললাটলিখনটা তিনিও বুঝতে পারছেন। আর পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য সিরিয়ার কাছে এই ম্যাচ মাস্ট উইন। ফলে তারাও আগ্রাসি ফুটবলই খেলতে চলেছে গ্রুপ লেগের শেষ ম্যাচে। গত এএশিয়ান কাপে ভারতীয় ফুটবল দল শুধু থাইল্যান্ডকে হারায়নি। বরং বাহরেনের মতো দলের সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিল। সুনীলের বয়স বেড়েছে বোঝাই যাচ্ছে। তার একার পক্ষে সব করা সমভব নয়। সেটা বুঝতে হবে স্টিম্যাচকেও। প্রায় দু সপ্তাহ দল বিদেশে শিবিরে থাকার পরেও কেন ফুটলারদের মধ্যে বোঝাবুঝির এত অভাব। কেন কোচের কোনও প্ল্যান বি নেই। শুরু থেকেই কিভাবে এত ছন্নছাড়া ফুটবল প্রশ্ন উঠছে প্রশ্ন। ব্যক্তিগতভাবে স্টিম্যাচ অনেক বড় ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিও চান। তার কথা শোনা হয়না অনেক ক্ষেত্রেই। তবুও অন্তত কিছুটা তো উন্নতি আশা করাই যায় তার থেকে। এভাবে হারলে তো মনোল আরও তলানিতে ঠেকবে। অবশ্য স্টিম্যাচ নিজেও যথেষ্টই বিরক্ত ফুটবলারদের খেলায়। তবুও তাকাতে চান পরের ম্যাচের দিকেই। যদি পয়েন্টের খাতা খুলে অভিযান শেষ করা যায়। ভারতীয় ফুটবল দলের যে লড়াই প্রথম ম্যাচে দেখা গেছিল, সেই লড়াই দ্বিতীয় ম্যাচে দেখতে পাওয়া না যাওয়ায় স্বভাবতই অখুশি প্রাক্তন ফুটবলাররা। ইশান পন্ডিতার মতো আক্রমভাগের ফুটবলারদের আগে নামিয়ে পাল্টা চাপ দেওয়া যেত। সেটাও করেননি স্টিম্যাচ।এখন দেখার জোড়া হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সিরিয়ার বিপক্ষে মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ ঝিংগান, ইশান পন্ডিতারা।