If you call 1930, your bank account will be frozen immediately
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
সাম্প্রতিক কালে বেড়ে চলা সাইবার ক্রাইম রুখতে রাজ্য পুলিশের নয়া উদ্যোগ।তৈরি হয়েছে সাইবার সেল উইং।এখানেই ১৯৩০ টোল ফ্রি নম্বরে । এখানে ফোন করলেই সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজ হবে ব্যাংক একাউন্ট। রাজ্য জুড়ে সক্রিয় জামতারা সহ বিভিন্ন ভিন রাজ্যের সাইবার ক্রাইম গ্যাং।নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা।এবার তাই তৈরি হয়েছে রাজ্য সাইবার ক্রাইম উইংয়।পুলিশের বিশেষ টিম তৎপর থাকবে ২৪×৭।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডি আই জি সাইবার ক্রাইম অঞ্জলি সিং।হাওড়ার শিবপুর পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, সাইবার জালিয়াতদের ফাঁদে পড়েছেন বুঝতে পারলেই ১৯৩০ নম্বরে ফোন করুন।রাজ্য সাইবার সেল উইংয়ের অফিসারেরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকে যোগাযোগ করে ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দেবেন।এতে একাউন্ট থেকে আর টাকা নিতে পারবে না জালিয়াতরা।এমনকি তদন্ত খুব দ্রুত চালু হয়ে গিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হবে।এতে সাফল্য মিলছে।গত ফেব্রুয়ারি মাসে চ্যাটার্জি হাট থানার এক বাসিন্দার প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেয় সাইবার জালিয়াতরা।এই কেসে সাফল্য মিলেছে।হাওড়া সাইবার ক্রাইম বিভাগ ও রাজ্য সাইবার সেল উইং যৌথভাবে তদন্ত করে দুজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউটাউনের(Newtown) একটি আবাসন থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।বাজেয়াপ্ত হয়েছে চারটি মোবাইল ফোন,১৩ টি ডেবিট কার্ড,৩৮ টি মোবাইলের সিম কার্ড,তিন লক্ষ টাকা ও দুটি চারচাকা গাড়ি।
শনিবার ধৃত সুশীল জানা ও প্রণব ভূঁই কে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই তদন্তের আরো অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
হাওড়া সাইবার ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে প্রায় এক কোটি টাকা প্রতারিতদের ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে আমজনতাকে সতর্ক হতে হবে। যেকোনো ইমেইল বা ফোন এলেই তা যাচাই করতে হবে। কেউ নানা ধরনের ফোনে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিলে বা ভয় দেখালে বিচলিত হলে চলবে না। সময় চেয়ে নিয়ে সে বিষয়টি যাচাই করে দেখতে হবে। দুপুরবেলায় যে প্রবীণ ব্যক্তিরা বাড়িতে একা থাকেন তাদের ফোনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ফোনে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলে বা ভয় দেখালে কিংবা নির্দেশ পাঠালে তৎক্ষণাৎ কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরবর্তীকালে বিষয়টি যাচাই করে এবং পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতাও নেওয়া যেতে পারে।