Last respect to martyred Captain Brijesh
দেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক :মায়ের কোলে ফিরল সেনা ছেলের নিথর দেহ। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপাকে ৷ সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন । বুধবার বিশেষ বিমানে ক্যাপ্টেনের দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরের বায়ুসেনা ছাউনির আলফা জোনে এসে পৌঁছায় ৷
ব্যাঙডুবিতে সেনা ছাউনিতে আনা হয় শহিদের দেহ। সেখানে ছিলেন ব্রিজেশের পরিবার-পরিজনরা। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লি থেকে ছুটে আসেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত। তিনি জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে অভিযোগ তুলে কড়া বার্তাও দেন। সেখানে শহিদ ব্রিজেশ থাপাকে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে লেবংয়ের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কফিনবন্দি দেহ। শুক্রবার লেবংয়ের গিং চা বাগানে সামরিক গান স্যালুট দেওয়ার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে শহিদ ক্যাপ্টেনের।
ব্রিজেশের শেষযাত্রায় ভেঙে পড়ল ভিড়। ছেলে শহিদ হওয়ায় তাঁরা গর্বিত, জানিয়েছিলেন আগেই। এদিন ছেলের নিথর দেহ দেখে বাঁধ মানল না চোখের জল। কফিন ছুঁয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা। বাঁধভাঙা জল গড়িয়ে এল ব্রিজেশের বাবা কর্নেল ভুবনেশ থাপার চোখ থেকেও। তাঁদের চোখ বলে দিচ্ছিল ব্রিজেশের শৈশবের আহ্লাদের দিনগুলোর কথা।
ব্রিজেশের স্কুল জীবন কাটে দার্জিলিঙেই। এরপর মুম্বইতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়ে বিটেক পাস করেন। এদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন ব্রিজেশ। ২০১৮ সালে তিনি ওই ডিফেন্স সার্ভিসের শর্ট সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাস করেন ও ২০১৯ সালে সেনাতে যোগ দেন। তিনি দু’ বছর ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর তাকে এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীন জম্মু কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি করা হয়। সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ- কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন।
সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় ভারতীয় সেনার। সঙ্গে ছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। ব্রিজেশ তাঁর ট্রুপ নিয়ে অভিযানে যাওয়ার সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা হয়। দু-পক্ষের লড়াইয়ে ৪ জন জওয়ান ও এক জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ক্য়াপ্টেন ব্রিজেশ থাপাও। ডোডায় জঙ্গি হামলার দায় নিয়েছে কাশ্মীর টাইগার্স।