Th body of late former Chief Minister Buddhadev Bhattacharya will be kept at Peace World today. Alimuddin will pay his last respects on Friday
রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা :প্রয়াত হলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেব বাবুর মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিঁনি । এই খবর পাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তিঁনি ছিলেন একজন ভারতীয় কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর প্রাক্তন সদস্য। তিনি ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৭তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫ দশকেরও বেশি রাজনৈতিক কর্মজীবনে, তিনি তার শাসন কালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র নেতাদের একজন হয়ে ওঠেন। কলেজজীবনে রাজনীতিতে যোগদান করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিঁনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তাল খাদ্য আন্দোলনের সাথে সাথে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে যোগদান করেন। তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক হন যা পরবর্তী কালে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন রূপে আত্মপ্রকাশ করে।
২০২২ সালে তিনি পদ্মভূষণ লাভ করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ব্যক্তিগত সততার নিরিখে এক বিরল রাজনীতিক। সাদা ধুতি – পাঞ্জাবি এবং কোলাপুরি চপ্পলে আপাদমস্তক বাঙালি ভদ্রলোক। তিঁনি স্বপ্ন দেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের। জমি অধিগ্রহণ বিতর্ক তাঁর সেই স্বপ্নভঙ্গ করেছিল তাঁর জীবদ্দশায়। হয়তো স্বপ্নভঙ্গের জন্যে ভগ্ন হৃদয়, ভগ্ন মন নিয়েই বিদায় নিলেন তিঁনি। কিন্তু তারচেয়ে অফুরন্ত ক্ষতি কি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি আজ সেটা উপলব্ধি করতে পারছে?