Bhupatinagar blast case hit the state government in the high court. NIA got protection.
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে NIA এর তদন্তকারীদের রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। আদালতের অনুমতি ছাড়া পুলিশ কোনো ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারবে না। NIA তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্য সম্পূর্ণ কেস ডায়েরি সহ রিপোর্ট দেবে।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, NIA আধিকারিকরা বৈধ তল্লাশিতে গিয়েছিল। স্থানীয় থানাকে জানিয়ে অভিযানে যায় NIA। কিনতু ভোরবেলায় পুলিশ ফোর্স জোগাড় কোর্টে পারেনি। কিন্তু মূল অভিজুক্টের পরিবারের অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশ যে ৩২৫ ধারা যুক্ত করেছে টা বৈধ নয়। কারণ মেডিকাল রিপোর্ট ণা দেখে এবং প্রযোজনীয় তদন্ত না করেই পুলিশ এই ধারা যোগ করেছে।
এন আইএর পক্ষের আইনজীবী অরুণ মাইতি বলেন, ভুপতিনগরের ঘটনায় ৪ জন অভিজুক্তের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বিস্ফোরক মজুত সহ আরও প্রামাণ্য তথ্য পায় এনআইএ । তার ভিত্তিতে NIA গ্রেপ্তার ও তল্লাসি করতে যায়। যখন এনআইএ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ অভিযানে যায়। পুলিসের থেকে কোনো সাহায্য মেলেনি। পাঁচটি আলাদা জায়গায় যাওয়ার ছিল। মণোব্রত জানাকে গ্রেপ্তারের পরেই এনআইএ কে মারধোর শুরু হয়। শখানেক লোক জড়ো হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে জানানো হয়। কোনো কাজ হয়নি। সকাল ৮.১৫মিনিট নাগাদ পুলিশে অভিযোগ করে NIA। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মনোব্রতর স্ত্রী NIA বর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। জার ভিত্তিতে পুলিশ উল্টে NIA এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এফআইআর। এই এফআইআর খারিজ করা হোক বলে দাবি করেন তিনি। গোটাটাই মিথ্যা অভিযোগ। NIA সবচেয়ে বিশ্বস্ত তদন্তকারী সংস্থা। মণোব্রত জানা কে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ মনোব্রতর কোনো ইঞ্জুরি রিপোর্ট নেই সরকারি হাসপাতালের রিপোর্টে।
সরকারি আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়: পাঁচ জায়গায় এনআইএ যাবে তা জানানো হলেও কোথায় যাবে তা নির্দিষ্ট ভাবে বোল হয়নি। ভোর ৪.১৫মিনিটে এনআইএ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। সকাল ৬.২৫মিনিটে পুলিশ প্রথম NIA থেকে ফোন পায় যে তাদের ঘেরাও করা হয়েছে। ৭.৪৭ নাগাত পুলিশ ও এনআইএ থানায় ফেরে এবং এনআইএএর অভিযোগ নেওয়া হয় । পুলিসের টীম তৈরি ছিল কিন্তু কোথায় তারা যাবেন তা জানা না থাকায় পুলিয়া যেতে পারেনি। সন্ধ্যে 6,45 মিনিটে মণোব্রতর স্ত্রী মণি জানা পুলিসের কাছে অভিযোগ জানান। যদি কারোর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আসে তাহলে পুলিশ তো FIR করবেই। এখানে পুলিসের টো কিছু করার নেই।
বিচারপতি : পুলিশ কি কোনো ভিডিও ফুটেজ জোগাড় করেছে?
উত্তরে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন না, NIA আমাদের সেরকম কিছু দিতে পারেনি।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন পুলিশ কোনো সহযোগিতা করেনি অভিযোগ করছে NIA। কিন্তু NIA তো নিজেও সাহায্য করেনি। মেডিকাল রিপোর্টটা পুলিশকে দেননি কেন?
আর পুলিশ কেন কোনো তদন্ত ছাড়াই ৩২৫ ধারায় ( ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা) মামলা রুজু করল? কে তদন্ত করেছে?
কেন্দ্রের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার অভিযোগ করেন, সন্দেশখলিতে একই ভাবে ED আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সণ্ডেশ্খলির মত ভুপটিণগরেও একই ঘটনা। সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মেলে কিনতু উল্টে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। আয়কর আধিকারিকদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা।
কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানান, আদালত যদি চায় তাহলে CBI তদন্তভার নিতে পারে
রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজিবী বলেন এতো ভোরে ফোর্স রেডি করে এধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অসুবিধাজনক।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, সব ঠিক আছে। কিন্তু তার পরেও তো আপনারা সাহায্য করেননি। সন্ধ্যেয় যখন অভিযোগ পেলেন তখন তদন্ত না করেভারতীয় সংবিধানের ৩২৫ ধারা দিলেন কিভাবে?
মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯শে এপ্রিল দুপুর ২টোর সময়। একইসঙ্গে পুলিসের FIR বিধিসম্মত নয় বলেও মন্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। NIA আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হবে পুলিশকে।