Yunus government woke up in Bangladesh’s ‘Special Branch, NSI and DGFIK’ report.
বাংলাদেশ
মুনমুন রায়, প্রতিনিধি:বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর ক্ষমতায় বসেছেন মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। আর তারপর থেকেই আওয়ামী লীগের অস্থিত্ত নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে ইউনূসের সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের তিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এনএসআই এবং ডিজিএফআইকে’ রিপোর্টে ঘুম উড়েছে ইউনুস সরকারের।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের এই তিন গোয়েন্দা সংস্থাকে অন্তর্বর্তী নির্বাচন হলে কী হতে পারে তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৮ নভেম্বর তিন সংস্থার তরফে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১৬০ থেকে ১৭০ আসন পেতে পারে। বিএনপির ভাগ্যে জুটতে পারে ৮০ থেকে ৯০ আসন। জামায়াত ইসলামি পেতে পারে ২০ থেকে ৩৫ আসন। জাতীয় পার্টি ৫ থেকে ১০ আসন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন মূলত শহর কেন্দ্রিক ছিল। গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল না। উল্টে গত ১৫ বছর গ্রামের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং গরিব মানুষের অর্থনৈতিক দশা অনেক বদলেছে। আর তার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ গ্রামীণ ভোটাররা। দ্বিতীয়ত, অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে কোমর কষে আসরে নেমেছে তা ভালভাবে মেনে নিতে পারছেন না সিংহভাগ মানুষ। তৃতীয়ত, শেখ হাসিনা জমানার পতনের পরে চাল-ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। গত তিন মাসের মধ্যে জিনিসের দাম ২৫-৩০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। চতুর্থত, ক্ষমতার পালাবদলের পরে একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। কাজ হারানো শ্রমিকদের পরিবার ও পরিজনরা এর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছে। পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। আওয়ামী জমানার চেয়েও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বেড়েছে। আর ওই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। ফলে মানুষ চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ষষ্ঠত, হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক পুরোপুরি আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকেছে। ক্ষমতার পালাবদলের পরে বিএনপি ও জামায়াত সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি যেভাবে অত্যাচার চালাতে শুরু করেছেন তাতে ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়। বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। হিন্দুদের ভোট একচেটিয়াভাবে আওয়ামী লীগে পড়বে।