BNP Chairperson Khaleda Zia returned home from the hospital
বাংলাদেশ
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে
স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে রাত ৮টা নাগাত গুলশানের বাড়িতে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন রাতে সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। কিন্তু এখন তাঁর স্বাস্থ্যের নতুন কিছু জটিলতা হয়। সে কারণে এবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।একই সঙ্গে জাহিদ হোসেন জানান, এবার এক দিন হাসপাতালে থেকে কিছুটা স্বস্তি বোধ করায় খালেদা জিয়াকে এখন বাসায় নেওয়া হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলো রিপোর্ট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড তা পর্যালোচনা করে বাসায় রেখেই তাঁকে চিকিৎসা দেবেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, উন্নত চিকিৎসার খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আবারও পরামর্শ দিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তাঁর গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তাঁর পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এমন পরিপ্রেক্ষিতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর।যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তাঁর স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।