How many times has Bangladesh been led by the army, what does the history of Bangladesh say!
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। যার জেরে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপাতত শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করবে সেনাবাহিনী। সোমবার, ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশ ছাড়তেই একথা ঘোষণা করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বাংলাদেশে কতবার ফৌজি শাসন হয়েছে, দেখে নেওয়া যাক সেই ইতিহাস:-
১৯৭১-র ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ওই সময় দেশটির একমাত্র কর্তা ছিলেন আওয়ামি লিগ নেতা তথা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার বাবা। পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন মুজিবুর ।
কিন্তু, নতুন দেশ তৈরির ৪ বছরের মধ্যেই সেনাশাসনের মধ্যে পড়েন বাংলাদেশ। ১৯৭৫-র ১৫ অগস্ট ঢাকায় শেখ মুজিবুর হত্যা করে ফৌজ। সেই সঙ্গে প্রাণ যায় মুজিবের গোটা পরিবারের। ওই সময় স্বামীর সঙ্গে বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান হাসিনা
শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর খান্দেকর মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইসলামিক শাসন শুরু হয়। কিন্তু ঘটনার পিছনে ছিল সেনাবাহিনী। ওই বছরই ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে ফের সেনা অভ্যুত্থান হয় বাংলাদেশে। ফলে ক্ষমতা থেকে যান খান্দেকর মোস্তাক আহমেদ।
১৯৭৫-র ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে তৃতীয়বারের জন্য সেনাবাহিনী হাতে যায়। জর নেতৃত্বে ছিলেন বাম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। এই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ।
এর পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হয়ে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি-র প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সময়ে দু’বার সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। দু’টি ঘটনাই ঘটে ১৯৭৭-এ।
১৯৮১-তে চট্টগ্রামে একটি সেনা অভ্যত্থানে প্রাণ হারান জেনারেল জিয়া। তিনি নিহত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষমতা দখল করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেন মহম্মদ এরশাদ। দেশে সেনাশাসন চালু করেন তিনি।
১৯৯০ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন এরশাদ। জাতীয় পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দলও তৈরি করেছিলেন তিনি।
পরবর্তী দশকগুলিতেও একাধিকবার বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৯৬, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনওবারই সাফল্য হয়নি সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ বছর সেনা শাসনে কাটিয়েছে পদ্মা পাড়ের এই দেশ। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আবারও সেনার পরিচালনায় চলবে এই দেশ। ইতিহাসে বাংলাদেশে সেনা পরিচালনা তালিকায় আবার একবার ২০২৪ এর ৫ অগাস্ট এই তারিখ সংযোজিত হলো।