Bangladesh is dreaming of winning the war with India! The three former chiefs of the Bangladesh Army think.
Feedback
মুনমুন রায়, প্রতিনিধি :বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস ভারত বিরোধিতাকেই হাতিয়ার করে এগোচ্ছেন। বাংলাদেশ জুড়ে ভারত বিরোধিতা এখন তুঙ্গে। সূত্রের খবর বাংলাদেশের জমি ব্যবহার করে সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে নতুন করে জঙ্গি স্লিপার সেল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জেল থেকে ছাড়া হচ্ছে একের পর এক কুখ্যাত জঙ্গিকে। আর এর জেরেই ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর এর পরেই বাংলাদেশের সেনা সদর দফতরে পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সে দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। ওই বৈঠকে যশোর, কুমিল্লা, জালালাবাদ, রাজশাহী , রংপুর ও সৈয়দ সেনানিবাসে কর্মরত সেনা আধিকারিক ও সেনা জওয়ানদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করে দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সার্বিয়া থেকে কেনা ৩৬ টি নোরা বি-৫২ ১৫৫মিমি স্বয়ংচালিত কামান, ৪৯টি ডব্লিউএস-২২ মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম এবং ট্যাংক বিধ্বংসী রাশিয়ান মেতিস এম-১ এবং চিনা পিএফ-৯৮ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও শনিবার তড়িঘড়ি পিলখানায় বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিবির সব রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বিজিবির পদস্থ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকে অর্থাৎ ভারতীয় জমি থেকে যদি একটা গুলি চালানো হয়, তাহলে ১০টি গুলি চালানোর কথা বলেছেন। যদিও ভারতীয় সেনা আক্রমণ চালালে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়া যাবে বলে মনে করছেন না সেনা ও বিজিবির শীর্ষ কর্তারা। ভারতীয় সেনা কিংবা আধা সেনার যে প্রশিক্ষণ এবং শারিরীক সক্ষমতা রয়েছে, তার সঙ্গে কোনও ভাবেই পেরে ওঠা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন তিন প্রধান।