Want to go on a family trip? There are many places in the heart of Bengal that have not been heard before.
মুনমুন রায়, প্রতিনিধি :বাঙালির পায়ের তলায় নাকি সর্ষে। তাই বোধয় এই ব্যাস্ত জীবনে সুযোগ পেলেই মনেহয় একটু ঘুরে আসি। অথচ হাতে বেশি দিন ছুটি নেই। তাহলে সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন আরাকু ভ্যালি। অবাক হচ্ছেন? এটি বাংলার পশ্চিমে বাঁকুড়া জেলার বুকে অবস্থিত এক অপূর্ব সৌন্দর্যে মোরা পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে আছে পাহাড়, নদী, জঙ্গল। এটি বিহারীনাথ পাহাড়, বাংলার ‘আরাকু ভ্যালি’ ।বাঁকুড়া জেলা থেকে 57 কিমি এবং রানিগঞ্জ থেকে 24 কিমি দূরে অবস্থিত বিহারিনাথ পাহাড়। পাহাড়টি প্রাচীন জৈন সংস্কৃতির সাক্ষী বলে মনে করা হয়। এখানকার প্রকৃতিক সৌন্দর্য আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে দেবে। সবুজে ঘেরা পাহাড় ,পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঝর্ণা আর দামোদর নদী পাহাড়টিকে এত স্নেহের সাথে জড়িয়ে রেখেছে যে আপনি অবশ্যই ‘জল-জঙ্গল-পাহাড়’
এর প্রেমে পরে যাবেন ।
কলকাতা থেকে বিহারীনাথ পাহাড় যেতে ট্রেন, বাস এবং গাড়ি-সহ বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা উপলব্ধ। ট্রেনে করে যেতে হলে, প্রথমে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যেতে হবে, তার পর শিয়ালদহ থেকে বাঁকুড়া,লোকাল ট্রেনে যেতে হবে। বাসে করে যেতে হলে, কলকাতা থেকে সরাসরি বাঁকুড়াগামী বাস পাওয়া যায়। গাড়িতে করে যেতে হলে, কলকাতা থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে সরাসরি বিহারীনাথ পাহাড়ে পৌঁছনো যায়।
এখানে একটি শিবমন্দির আছে,বিহারীনাথ পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে এই মন্দিরের নাম অনুযায়ী। পাহাড় ট্রেক করেও অনেক মানুষ মন্দিরে পৌঁছন। বিহারীনাথ পাহাড়ে বেশ কয়েকটি ঝর্না রয়েছে। বর্ষাকালে এগুলির শোভা ভারি মনোরম হয়ে ওঠে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রামদা ঝর্ণা, সীতা ঝর্না এবং লক্ষ্মণ ঝর্না।
বিহারীনাথ পাহাড়েই রয়েছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে গভীর জঙ্গল । বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী এখানে দেখা যায়।