It is possible to see snow in South India! Visit Andhra Pradesh
মুনমুন রায় প্রতিনিধি:বেড়াতে কে না ভালোবাসে। আর বরফ দেখার টানে ঘুরতে যাওয়া তো একটা আলাদা আকর্ষণ। দেশের মধ্যে বরফ পড়ে, এমন জায়গা হোলো উত্তরের পাহাড় বা দার্জিলিং, সিকিম। কিন্তু জানেন কি, কেবল উত্তরে নয়, দক্ষিণেও বরফের দেখা মেলা সম্ভব! ভাবছেন, ভারতের দক্ষিণ দিকে তো সাগর, উত্তরের তুলনায় ঠান্ডাও কম পড়ে, সেখানে আবার বরফ আসবে কোথা থেকে! কিন্তু লাম্বাসিঙ্গি হল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের আলুরি সীতারামা রাজু জেলার চিন্তাপল্লী মন্ডলের পূর্ব ঘাটের একটি ছোট গ্রাম। এটি “অন্ধ্র প্রদেশের কাশ্মীর” হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 1000 মিটার উচ্চতায়, এলাকাটি আশেপাশের সমভূমির তুলনায় শীতল এবং আর্দ্র পর্ণমোচী বনে আচ্ছাদিত।
আর শুধু শীতে নয়। এই লাম্বাসিঙ্গি গ্রামটি সারা বছরই ঢাকা থাকে ঘন কুয়াশায়। শীত পড়া মাত্রই তাপমাত্রার পারদ নামতে থাকে চড়চড় করে। থামে মাইনাস ২ ডিগ্রিতে গিয়ে। আর তখনই লাম্বাসিঙ্গির কোলে যেদিকেই তাকাবেন, সেদিকেই আপনার চোখে পড়বে শুধু সাদা বরফের কুচি। শীত পড়তে না পড়তেই গ্রামে একে একে বাড়তে থাকে পর্যটকের সংখ্যা। লাম্বাসিঙ্গি গ্রামটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয়, ‘কোরা বায়ালু’। তেলুগু ভাষার এই শব্দটির অর্থ, ‘বাইরে থাকলে যে কেউ ঠান্ডায় জমে যাবে’।এখানে এলে আপনি দেখতে পাবেন চা-কফির বাগান, স্ট্রবেরির খেত, আপেলের খামার, নানান প্রজাতির পশুপাখি আর গাছপালার সৌন্দর্য। তবে লাম্বাসিঙ্গিতে উপস্থিত হলে সেখানকার জনপ্রিয় সুসান ফুলের বাগান দেখতে ভুলবেন না।
কিভাবে পৌঁছাবেন।বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরটি নিকটতম বিমানবন্দর। নিকটতম রেলপথ চিন্তাপল্লে, লাম্বাসিঙ্গি থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে। আর সড়কপথে বিশাখাপত্তনম থেকে ট্যাক্সি লাম্বাসিঙ্গি পৌঁছতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নেয়।