Abol Tabol is Sukumar Roy’s unforgettable creation, which could not be translated into any other language.
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
“আবোল তাবোল” সুকুমার রায়ের এমন একটি সৃষ্টি, যার অর্থ অক্ষুন্ন রেখে পৃথিবীর আর কোনো ভাষায় এর অনুবাদ সম্ভব হয়নি
হাঁস ছিল, সজারুও, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল ‘হাঁসজারু’ কেমনে তা জানি না ৷
বক কহে কচ্ছপে—”বাহবা কি ফুর্তি !
অতি খাসা আমাদের ‘বকচ্ছপ মূর্তি’ ৷”
মস্তিষ্কের এত উর্বর চিন্তা ভাবনা বোধহয় আর কোনো ভাষাতে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়
আবোল তাবোল কবিতার মাধ্যমে বাঙালি পাঠক এক নতুন কল্পনার জগতে উন্মোচিত হয় । এই নির্বাচন সুকুমার রায়ের শ্লেষ-ধাঁধাঁপূর্ণ কবিতার জগতের সেরা সৃষ্টি।
“আবোল তাবোল, সৎপাত্র, একুশে আইন, প্যাঁচা আর প্যাচানি,গোঁফ চুরি, খিচুড়ি ,পান্তা ভূত, ষষ্ঠী চরণ “
আমরা বাঙালিরা বাদে, এই রসবোধে সকলেই বঞ্চিত.
যদিও এটি প্রকাশের সময় বোঝা যায় নি, আবোল তাবোলের অনেক কবিতায় বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের ঔপনিবেশিক ভারত – বেশিরভাগ বাংলার সমাজের অবস্থা এবং প্রশাসনের উপর নিপুণভাবে লুকানো ব্যঙ্গ রয়েছে। শিশুদের জন্য অর্থহীন ছড়াগুলিতে একটি ধ্বংসাত্মক প্রকৃতির অন্তর্নিহিত লুকানো অর্থ নিহিত করা ছিল ভারতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসনের প্রেস সেন্সরশিপকে নস্যাৎ করার জন্য সত্যজিৎ রায়ের চতুর উপায়, যা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধ্বংসাত্মক সাহিত্য সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর।