যার যেরে আরও বিপাকে পশ্চিমাঞ্চলের এসএসসি চেয়ারম্যানের স্ত্রী জেসমিন খাতুন। ভুয়ো শিক্ষিকা হিসাবে তিনি বাঁকুড়ার একটি স্কুলে কর্মরত বলে অভিযোগ করেছিল সিআইডি। মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে ভুয়ো শিক্ষক কান্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলাতেই আরো দুই ভুয়ো শিক্ষকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে জানায় সিআইডি। যার মধ্যে একজন ছিলেন এসএসসি পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানের স্ত্রী জেসমিন খাতুন। তিনি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান। সোমবার ছিল মামলার শুনানি। সেই মামলায় মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন তার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমাণ নেই। অথচ এফ আই আর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও আদালত এই বক্তব্যে সিলমোহর দেয়নি। নির্দেশে বিচারপতি সেন এর ডিভিশন জানিয়েছে সিআইডি তদন্ত চলবে।
বাঁকুড়ার অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম জেসমিন খাতুন। ২০১১ সালের স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্যানেলের নিরিখে ২০১৯ সালে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অথচ তত দিনে ওই প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল।জেসমিনের স্বামী শেখ সিরাজুদ্দিন বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ এবং এসএসসি-র পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের করণচাঁদ হাই স্কুলে কর্মরত শুভেন্দু হাটুয়া নামে এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ উঠেছিল। তিনিও সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিনের রায়ের পর ওই মামলার ও তাৎপর্য রইল না বলে মনে করছে আইনজীবী মহল।