14 hours and 12 hours ED interrogation! phone of two ministers seized, Sujit-Tapas got angry
রাজ্য
দ্যা হোয়াইট বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : একজন মন্ত্রীর ১৪ঘণ্টা একজনের ১২ঘণ্টা। স্বামীজির জন্মদিনে গৃহবন্দি শাসক দলের তাপস,সুজিত,সুবোধ। প্রায় ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি শেষে ইডি সুজিতের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিজেপিকে জবাব দিলেন দমকলমন্ত্রী। সেখানে নাম করে আক্রমণ করেন শুভেন্দু, সুকান্তদের। তিনি বলেন, ‘‘একটা কথা আপনারা মনে রাখবেন, কর্মক্ষেত্রে যদি কেউ এক পয়সা সুজিত বোসকে দিয়ে থাকেন, সুজিত বোস আজকেই রেজিগনেশন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবে।’’ এ কথা শুনেই সুজিতের অনুগামীরা হাততালি দিয়ে ওঠেন। ঢাকা পড়ে যায় মন্ত্রীর কণ্ঠস্বর। বস্তুত, এর পরেই সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণে যান সুজিত। তিনি বলেন, ‘‘কাল চার দিনের জন্য গঙ্গাসাগরে যাচ্ছি। শীতের পোশাক আমি নেব। তার পর তো আমি ফিরছি। বিরোধী দলনেতা সবাইকে চোর বলছেন, আয়নায় নিজের মুখটা দেখুন! তোয়ালে পেঁচিয়ে টাকা নিয়েছেন। কত দিন বিজেপি আপনাকে গার্ড করবে?’’ এর পরেই সুজিত নিশানা করেন সুকান্তকেও। তাঁকে রাজনীতির লোক বলে মনে করেন না বলে দাবি করে সুজিত বলেন, ‘‘রোল বিক্রি করতাম। গর্বের সঙ্গে বিক্রি করতাম। কিন্তু কারও পকেট কাটতাম না। চুরি করতাম না। আপনার প্রধানমন্ত্রী তো চা বিক্রি করতেন। নিজেই তো বলেছেন। নিজের প্রধানমন্ত্রীকেও আপনি অপমান করছেন! পাশাপাশি তিনি জানান বেশ কিছু নথি ছাড়াও মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এ কথা জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সুজিত। তাঁর দাবি, তিনি দমকলের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বিভাগের মন্ত্রী। তাই তাঁর ফোন অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু তা-ও ফোনটি তাঁকে দিয়ে যায়নি ইডি বলেই অভিযোগ সুজিতের। যদিও ইডির তদন্তে পরিবারের সকলে মিলেই সমস্ত রকম সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বউবাজারের বাড়িতে সকালে ৬টা ৪০ মিনিটে বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়কের বউবাজারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ইডি।বেরিয়ে আসেন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ।ইডির তল্লাশি শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের তাপস জানিয়েছেন, ‘‘কিছুই পায়নি ওরা। তবে আমার মোবাইলটা নিয়ে গিয়েছে। দুপুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সকাল থেকেই শহরে বিভিন্ন জায়গাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। তল্লাশি অভিযানে তৃণমূল বিধায়ক তাপস এবং রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও দক্ষিণ দমদম পুর সভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর একাধিক ঠিকানায় হানা ইডি আধিকারিকরা।